গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে নিখোঁজ শিশু শিহাবের (৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে পূবাইলের মেট্রোপলিটন থানার ৪০নং ওয়ার্ডে বসতবাড়ির ১০০ মিটার দূরে একটি বাড়ির কলাপসিবল গেটের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিহাব পূবাইলের মেট্রোপলিটন থানার ৪০নং ওয়ার্ডের মাজুখান উত্তরপাড়া এলাকার জুয়েলের ছেলে। এর আগে শনিবার দুপুরে নিখোঁজ হয় শিহাব।

সারা দিন খোঁজাখুঁজির পর রাতেই শিশু শিহাবের নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়ে তার বাবা জুয়েল বাদী হয়ে পূবাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জানা যায়, শনিবার দুপুরে নিখোঁজের পর রোববার ভোরে প্রতিবেশীরা ওই এলাকায় সালাম মুন্সিরবাড়ির পাশে শিহাবের লাশ পড়ে থাকতে দেখে তার দাদা সিরাজ মিয়াকে খবর দেয়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৬-৭ মাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে শিশুটির মা হেনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন শিহাবের বাবা জুয়েল (২৮)। সেই থেকে শিশুটি তার বাবার ও দাদা-দাদির সঙ্গে মাজুখানেই থাকত।

এ ছাড়া পাশাপাশি শিহাবের মা হেনা বেগম আশুলিয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি এমব্রয়ডারি কারখানায় কাজ নিয়ে একই এলাকায় ভাড়া বাসায় পৃথকভাবে বসবাস করতেন। জুয়েল মাজুখান বাজারে একটি ফটোসপ স্টুডিও খুলে ব্যবসা করেন। এ ঘটনায় শনিবার রাতে শিহাবের বাবা জুয়েল বাদী হয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। শিহাবের বাবা জুয়েল বলেন, ছোট্ট শিহাবের আবদার রক্ষা করতে বাইকে করে শনিবার সকালে পূবাইলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে দেখান তিনি। কে জানত এটিই তার বাবার কাছে শেষ আবদার ছিল।

তিনি বলেন, আমার জন্ম এখানে কিন্তু কে বা কারা আমার নিষ্পাপ শিশুকে নির্যাতন করে এভাবে মেরে ফেলবে সেটি আমার বোধগম্য নয়। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পূবাইল থানার ওসি মহিদুল ইসলাম  জানান, নিহত শিশুর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।